SEO শব্দটিকে ভাঙ্গলে পাওয়া যায় S=Search, E=Engine, O=Optimization, অর্থাৎ Search Engine Optimization. মানুষ
প্রয়োজনের তাগিদে তাদের সকল তথ্য খোজার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে। যেমন
গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি। যে শব্দ বা বাক্যটি লিখে সার্চ করা হয় তখন ওই রিলেটেড
অনেকগুলো রেজাল্ট একসাথে পাওয়া যায়। যে
কোন তথ্য খুজে পেতে বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ গুগল ব্যবহার করে। এর কারণ
স্বরুপ দেখা যায় গুগলের জনপ্রিয়তা ও এর সুবিধার জন্য। কোন শব্দ বা বাক্য লিখে
সার্চ করলে অনেক ওয়েব সাইট সামনে আসে।
একটি সাইট বানালেই তা সবার
সামনে আসবে? এর উত্তর না।
করতে হবে? এর উত্তরটা পরে দিচ্ছি।
মনে করুন আপনি ওয়েব
ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, থ্রিডি ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি বা কম্পিউটার রিলেটেড কাজ
করতে পারেন। এ কথা শুধুমাত্র আপনার বন্ধু বা একান্ত যারা আপনার সাথে মিশে
শুধুমাত্র তারাই জানবে এটাই ঠিক। অন্যরা জানার প্রশ্নই আসে না। তাহলে ধরুন আপনি
কাজ পারেন তা সবাইকে জানাবেন। এর জন্য আপনাকে কি করতে হবে? উত্তর হল আপনার প্রচার
করতে হবে। আপনার প্রচার করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম হতে পারে যেমন লিফলেট, পোস্টার,
ব্যানার ইত্যাদি। কিন্তু ইন্টারনেটে তো এগুলো নেই তাহলে আপনার প্রচার করবেন
কিভাবে?
আসুন আজ আমরা শিখতে চাই
কিভাবে খুব সহজে আপনার সাইটকে সবার উপরে রাখা যায়।
বিজ্ঞাপনের এই কাজ করাকে
বলা হবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO।
SEO শিখতে গেলে কি কি
জানতে হবে।
.
বিভিন্ন ধরনের সার্চ
ইঞ্জিন সম্পর্কে ধারণা
.
HTML সম্পর্কে ধারণা
.
সর্বপরো ইন্টারনেটের উপর
স্পষ্ট ধারণা থাকা বাঞ্চনীয়
এখন আসি সার্চ ইঞ্চিন কি?
আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় যেকোন বিষয়ের তথ্য জানতে হলে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকি। তখন
সারা বিশ্বের যত ওয়েবসাইটে এ ব্যপারে যেকোন তথ্য আছে, সব
আমাদের সামনে চলে আসে। কয়েকটি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্চিনের নাম হল- গুগল(google),
ইয়াহু(yahoo), বিং(Bing), অ্যামাজন(Amozan), ইবাই(ebay), টুইটার(Twiter) ইত্যাদি।
সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে :
সার্চ ইঞ্জিনগুলো তৈরি হয়েছে, মানুষের তথ্য থুজে পাওয়ার জন্য। সেজন্য কোন
কিছু সার্চ দিলে যাতে সবচাইতে সেরা তথ্য খুজে পাওয়া যায়
সেজন্য সার্চইঞ্জিন সাইটগুলো কিছু পোগ্রাম তৈরি করে রাখে। যেটি সকল
সাইটগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তুলনা করে
সেরা সাইটগুলোকে সার্চের সামনে নিয়ে আসে। সেরা সাইট নির্বাচন করার জন্য তারা দেখে ওয়েবসাইটটির মানসম্মত কিনা, ওয়েবসাইটের তথ্য সকলের জন্য প্রয়োজনীয় কিনা, ওয়েভসাইটটি কেমন জনপ্রিয়। এগুলোসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে ফলাফল প্রদর্শন করে।
কেন এসইও করব:
ওয়েব সাইট বানানোর পিছনে সবার একটা লক্ষ্য থাকে। কেউ তার ব্যবসার জন্য, আবার কেউবা পন্য ক্রয়-বিক্রয় বা মার্কেটিং এর জন্য সাইট বানায়। আসলে এগুলো করতে হলে প্রয়োজন হয় ভিজিটরের। আপনার সাটেইর ভিজিটর ভাল না হলে ভাল ফলাফল আসা করা যায় না। তাই সবাই চায় তার ওয়েব সাইট সার্চে ১ নম্বরে আসুক। আর এ জন্য আমরা যে কাজটি পদ্ধতিগত ভাবে করি তাই এসইও।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ক্ষেত্রে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ :
ওয়েবসাইট তৈরি হয়
কোম্পানীর পণ্যের প্রসারের জন্য। যতবেশি মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে, ততমানুষ আপনার পণ্য সম্পর্কে কিংবা সার্ভিস সম্পর্কে ধারণা পাবে। সার্চ ইঞ্জিন কোন
একটি ওয়েব সাইটে ভিজিটরের প্রধান উৎস। শতকরা ৮০%
ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিন মাধ্যমে কোন ওয়েব সাইটে আসে
। তাই সার্চ ইঞ্জিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
ক)
যেকোন ওয়েবসাইটের বেশীর ভাগ
ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনে থেকে আসে । প্রতি মাসে প্রায় বিলিয়ন বিলিয়ন সার্চ হয় । United States এ এক
জরিপে দেখা গেছে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন সার্চ হয়
। (সূএ : com score.2008 )
গ)
অনেকে জানেনা তাদের প্রয়োজনীয় কোন তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে।সে জন্য তারা সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে সে
বিষয় লিখে সার্চ করে
। তখন প্রয়োজনীয় সাইটের লিস্ট তাদের কাছে চলে আসে।
ঘ)
বিনামুল্যে যেকোন তথ্য খুজে পাওয়া যায়,
সেজন্য সবাই এটি ব্যবহার করে।
ঙ)
সকল তথ্যে বিশাল ভান্ডার হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। সেজন্য দিনে দিনে এটির উপর
সবার নির্ভরশীলতা দিনে দিনে বাড়ছে।
চ)
যেহেতু তথ্য খুজে পেতে সবাই সার্চইঞ্জিনের সাহায্য নিয়ে থাকে, সেজন্য সকল কোম্পানী তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য সনাতনী পদ্ধতি ছেড়ে দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনের সার্চের প্রথমে তাদের কোম্পানীর ওয়েবসাইটকে রাখতে চায়।
জ) মার্কেটিংয়ের সনাতনী সকল পদ্ধতিগুলো ব্যয়বহুল এবং বর্তমানযুগে কম কাযকরী। অন্যদিকে SEO তে খরচ কম কিন্তু আগের পদ্ধতির চাইতে কমপক্ষে ৬০ভাগ বেশি কাযকরী।পরবর্তী পোস্ট------ কিভাবে SEO শিখব